কলকাতা মানেই নস্টালজিয়া। এই শহরের প্রতিটি মোড়, রাস্তা আর যানবাহনের নিজস্ব ইতিহাস আছে। তেমনই এক স্মৃতিবহ যান হল দোতলা বাস। আজও অনেকে চোখ বন্ধ করলে দেখতে পান সেই সবুজ-লাল রঙের দোতলা বাস, ওপরে বসে শহর দেখা আর হাওয়ায় চুল উড়িয়ে যাওয়া এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা।বাসের শুরু টা স্বাধীনতার ও অনেক আগে, সালটা তখন ১৯২৬। কলকাতার রাস্তায় তখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি ও ট্রাম। লন্ডনের আদলে এই দোতলা বাস কলকাতার কিছু সীমিত রুটে চললেও খুব দ্রুত নিজের জায়গা করে নেয় এই নস্টালজিক ইতিহাস।ধর্মতলা, হাওড়া ব্রিজ, শ্যামবাজার, গড়িয়াহাট – এই সব রুটে দোতলা বাস ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয়। খোলা হাওয়ায় সারা শহর ঘুড়ে দেখার স্বপ্ন এই বাস পূরণ করেছিল অনেকের। সিঁড়ি বেয়ে বাসের উপরে ছাদে চড়ে সারা কলকাতা দেখার অদ্ভুত একটা টান ছিল।বাস গুলো ছিল লোহার ফ্রেম এবং কাঠের আসনে তৈরি।
কিন্ত এই দোতলা বাস আজ ইতিহাসের পাতায় জায়গা করেছে।দীর্ঘ দিন ধরে দীর্ঘ পথ চলার পর ২০০০ সাল থেকেই এই বাসের সংখ্যা কমতে থাকে। এই বাসের অতিরিক্ত রক্ষণাবেক্ষণ ও রাস্তার ট্রাফিক ধীরে ধীরে একে অবলুপ্তির পথে নিয়ে যায়। তবে সম্প্রতি কলকাতা মেট্রো ও পরিবহন দপ্তর নতুন নস্টালজিক দোতালা বাস চালু করেন। আধুনিক প্রযুক্তি ও নতুন চেহারায় বাস গুলো হয়ে উঠছে পর্যটকদের আকর্ষণের জায়গা।
দোতলা বাস শুধু একটা যানবাহন নয়, এটা এক টুকরো সময়, এক টুকরো শহর। যারা একবার দোতলা বাসে কলকাতা ঘুরেছেন, তারা জানেন – সেই অভিজ্ঞতা আর কোনো কিছুর সঙ্গে মেলে না।
#KolkataHeritage #পুরোনো_কলকাতা #দোতলা_বাস